লেখক | : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় |
ক্যাটাগরী | : শিশু কিশোর |
প্রকাশনী | : আনন্দ পাবলিশার্স (ভারত) |
ভাষা | : বাংলা |
পৃষ্ঠা | : ৯৫ পাতা |
মুল্য | : ০.০০৳ |
রেটিং |
:
(৫.০০)
|
৩ বার ডাউনলোড করা হয়েছে |
হেতমগড়ের গুপ্তধন'-এর কোন চরিত্রটির কথা আগে বলব! মাধববাবুর কথা? এটা ঠিক যে, মাধববাবু যদি রাগ করে বাড়ি ছেড়ে না বেরােতেন, তা হলে কোনও দিনই হয়তাে জানা যেত না হেতমগড়ের গুপ্তধন কোথায় রয়েছে লুকনাে। আর এটাও ঠিক যে, মাধববাবুর মতাে মানুষের তুলনা একমাত্র তার নিজের সঙ্গেই করা চলে। কিন্তু ঘটোৎকচ না থাকলে কি মাধববাবু রাগতেন? ঘটোৎকচ অবশ্য মানুষ নয়, বিশুদ্ধ বাঁদর, কিন্তু বাঁদরামি ছাড়াও বিস্তর কীর্তিকাহিনীর নায়ক সে, একবার ফুটবল খেলার রেজাল্ট যেভাবে পাল্টে দিল, তারপরেও কি শুধুই বাঁদর বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় তাকে? অবশ্য ঘটোৎকচকে ওড়ানাে যে অত সহজ নয়, সেটা সবথেকে ভালাে জানত নন্দকিশাের নামের সেই ভূতটা, যে কিনা এই গুপ্তধন আবিষ্কারের আরেক নায়ক। আর যে নাকি কথায়-কথায় ঢুকে যেত মাধববাবুর শরীরে। আর সেই কারণেই না মাধববাবু অমন বিশাল চিতাবাঘটাকে সঙ্গী করে নিতে পারলেন? কী ভাবছ? ভূত কিংবা বাঘ এরা কীভাবে সঙ্গী হল আবার? আরে হয়, হয়। শুধু জানার অপেক্ষা। ‘হেতমগড়ের গুপ্তধন’ পড়লেই জানতে পারবে ভূত আর বাঘ, চোর আর দারােগা, বাঁদর আর মানুষ সব্বাই মিলে কী মজাদার কাণ্ডকারখানা বাধিয়ে শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায়ের এই উপন্যাসকে যাকে বলে একেবারে দুর্ধর্ষ স্বাদের করে তুলেছে।